নিজস্ব প্রতিবেদক: জামালপুরে ইসলামপুরে একটি বাক প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামী জামিন না হওয়ায় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদী পরিবারের উপর হামলা করার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেকসহ একই পরিবারে ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর পৌর শহরের ভাটিপাড়া গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,গত বুধবার (২৫জুন) বিকালে পলবান্ধা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক পরিবারের সাথে প্রতিবেশী একই গোষ্ঠীর মুখলেছের সাথে আদালতে বিচারাধীন একটি ধর্ষণ মামলা আসামী জামিন না হওয়া নিয়ে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদী পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলা ঘটনায় বাদী পক্ষের মাহমুদ হাসান(৩০), অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালেক(৬০), মাসুদা আক্তার (২৫), বিলকিস(২২) ও আল আমিন(৩৫)সহ ৪জন আহত হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনার থানায় মামলা হওয়ায় ইসলামপুর থানা পুলিশ গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আসামী পক্ষের কমলা(২৮), খাদিজা(১৮), আবু সামাদ(৩২)কে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
ভোক্তভোগী বাদীপক্ষের আতিকুল্লাহর অভিযোগ, আমার বোন বাক প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামীরা জামিন না হওয়ায় বুধবার আসামী পক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করে বাবা, ভাই-বোনকে গুরুর আহত করেছে। এরপর সকালে নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ঘরে জিনিসপত্র এলোমোলো করে মিথ্যা মামলার করার পায়তারা করছে। তারা ধর্ষণ মামলা এবং মার্ডার মামলা থেকে বাঁচার জন্য নিজেদের বাড়ি ঘরে নিজেরাই ভাংচুর করে। ভাংচুরের বিষয়টিকে বড় করে ভিকটিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে।
প্রতিবন্ধীকে অপহরণ এবং ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে, ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে আসামিরা ভিকটিমের পরিবারকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। ধর্ষণ মামলা পরবর্তী ভিকটিমের পরিবারের উপর পরপর ইতোমধ্যে ৪টি হামলা করে, সবগুলো হামলার মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
এছাড়াও ধর্ষণ মামলা উঠিয়ে নিতে ভিকটমের পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতনের পাশাপাশি সামাজিক ভাবেও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ধর্ষণ মামলার গ্রেফতারকৃত অসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক এবং বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি। আসামি রমজান, মোস্তফা একজন মাদক ব্যবসায়ী, মদ, ইয়াবা, হিরোইন নিজেও খায় এবং ব্যবসা করে। তার নামে মামলাও আছে। মাদক মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিল এবং জেলও ছিল। মার্ডার মামলার আসামিরা এখনো গ্রেফতার হচ্ছে না।
বিবাদী পক্ষের মুখললেছ উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাদীপক্ষের ভাই সমন্বয়ক পরিচয়কারী আতিকুল্লাহ তার লোকজন নিয়ে সকালে তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটতরাজ করেছে এবং নিজেরাই আহত হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফে রব্বানী জানান,থানায় এক পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ায় অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।