নিজস্ব প্রতিবেদক: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের স্হানীয় বিএনপি প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে টনকিবাজারের ডিসিআর কাটা ব্যবসায়ীদের জায়গা বেদখল বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি লিজ নেওয়া ডিসিআর কাটা ব্যবসার জায়গা বেদখল হওয়ায় আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী বিএনপি নেতাদের বাজারে কোন জমি না থাকলেও প্রকৃত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে নতুন করে টিনসেট ঘর তুলে খাস জমি নিজেদের কব্জায় নিয়ে অন্যের দোকান বসিয়ে কৌশলে "জোর যার মূলুক তার" স্টাইলে ব্যবসায়ীদের জায়গা জবরদখল বাণিজ্য করছে। ফলে বাজারে কাঁচা মাল ব্যবসায়ীসহ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা তাদের দীর্ঘ দিনের লিজ নেওয়া ব্যবসার জায়গা সংকোচন ও বেদখল হওয়ায় আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার বসা জায়গা পাচ্ছে না।
ভোক্তভোগী নিরঞ্জন বাবু জানান, তার দোকানের জায়গায় বেদখল হওয়ায় ১৬ফিটের জায়গার মাধ্যে এখন ৯ফুট রয়েছে। বাকি জায়গাতে প্রভাবশালীরা কাজ করতে দিতেছেনা।
ভোক্তভোগী সাখাওশাত হোসেন তামসা জানান,"আমাদের বাজারে যারা ডিসিআর কাটা আছে তারা কেও কম নিতেছে আবার কেও শক্তির জোরে বেশি নিতেছে। তাদের মধ্যে আমিও একজন ভোক্তভোগী,আমার ডিসিআর কাটা রয়েছে সারে ৬ফিট আমি পায়ছি সারে ৫ফিট।"
কাঁচামাল ব্যবসায়ী ভোক্তভোগী হাবিবুর রহমান জানান,"আমরা যারা কাঁচা মালের ব্যবসায়ী আছি এখানে আমরা দোকানদারী করতে পারতাছিনে।এখন বর্তমানে বাজারে কাজ হতেছে,যার যার মনে ঘর তুলতাছে, আমারা যারা কাঁচা মালের ব্যবসায়ী সরকারের নিকট আবেদন জানাইতাছি আমাদের ভালমতো জায়গা করে দিবেন।"
ভোক্তভোগী নজরুল ইসলাম লেবু জানান,"দখল করছে বিএনপি, আমাদের দলের বিএনপির কিছু উশৃংখল আছে এরা কাগজপাতি না থাকা সত্ত্বেও জায়গা দখল করছে। আমি আশা করি যাদের কাগজপত্র আছে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হোক"এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হোক।"
গোলাম মোস্তফা নহিনসহ বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকেরই অভিযোগ, যার ডিসিআর কাটা ১০ফুট ;সে দখল করছে ২০ফুট। বাজারে কাঁচা বাজার ও কলা ব্যবসয়ীদের বসার জায়গা বেদখল হয়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও প্রভাবশালীদের মদদে মহাসড়কের খালি জায়গাও বেদখল করে দোকানপাট তুলা হচ্ছে । গত ২১জুন এই নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
এব্যাপারে টনকি বাজার ইজারাদার জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ সচেতন মহলের অনেকেই জানান, বাজার বসা খাস জমি বেদখল হওয়ায় বাজারে খাজনা আদায় কমে যাবে। কেও যেন সরকারি জায়গা বেদখল করতে না পারে এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ডিসির কাটা ছাড়া বেদখল করে থাকা কুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মিস্টি বাবুল জানান,"আমি এই জায়গা ৫বছর ধরে ব্যবসা করছি, লেবুর জায়গা,লেবু যখন ঘর তুলতে চেয়েছে ছেরে দিয়েছি। আমি কারো জায়গা দখল করিনি। আমি ৫বছর এখানে ব্যবসা করেছি, ঘর মালিক আসলে আমরা জায়গা ছেরে দিয়ে যাবগা।"আমরা চাই যার ডিসিআর কাটা সেই জায়গা পাক।
প্রশাসনের নিকট এব্যাপারে টনকি বাজারের ভোক্তভোগী ব্যবসয়ীদের একটাই দাবি ডিসিআর কাটা অনুযায়ী তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।