হৃদয় হাসান ইকবাল,মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিককে থানায় প্রবেশে বাঁধা ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহাবুব আলম রতন উপজেলার ১৮নং চর গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বুধবার দুপুরে মাদারগঞ্জ মডেল থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জামায়াত নেতা ও আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করে সমিতির আমানতকারীরা। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা মাদারগঞ্জ মডেল থানার প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশের উপজেলা প্রতিনিধি খাদেমুল ইসলাম ও যুগান্তর প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহে যান। তারা প্রায় দেড় ঘন্টা থানার প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। ওসি হাসান আল মামুনকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি। পরে থানার গেট খোলার পর তথ্য সংগ্রহের জন্য থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সমবায় সমিতির টাকা উদ্ধার কমিটির সদস্য ও চর গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহাবুব আলম রতন সাংবাদিক খাদেমুল ইসলামকে ভেতরে প্রবেশে বাঁধা দেয় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক মাহাবুব আলম রতন বুধবার উপজেলার আমরিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণের অংশ নেয়া কথা ছিল। কিন্তু তিনি প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়ে থানা ফটকে সমবায় সমিতির একটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চর গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার বলেন, মাহাবুব আলম রতন আমার সাথে প্রশিক্ষণ করছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল মিয়াও জানান, মাহাবুব আলম সকাল থেকে প্রশিক্ষণে আছে ।
কিন্তু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক মাহাবুব আলম রতন প্রশিক্ষণে উপস্থিত নেই। কিন্তু প্রশিক্ষণার্থীদের হাজিরার খাতায় মাহাবুব আলম রতনের সাক্ষর রয়েছে। এসময় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল মিয়াকে প্রশিক্ষণ করাতে দেখা যায়। মাহাবুব আলম রতনের অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনি লিখিত অভিযোগ দেন তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশিক্ষণ ফেলে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক মাহাবুব আলম মুঠোফোনে জানান, তোমার যা ক্ষমতা আছে, তুমি করো। এ বিষয়ে কিছু বলবো না।
মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মির্জা হুমায়ুন কবির বলেন, থানায় প্রবেশ করতে শিক্ষক কেন সাংবাদিককে বাঁধা দিবে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সাংবাদিককে থানায় প্রবেশে বাঁধা প্রদানের বিষয়ে জানতে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।